কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কোন খাবারগুলো খাওয়া উপকারী?
কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করতে যে সমস্ত খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত তা আলোচনা করা হলো। তবে কি কি কারনে এটা হয় সেগুলোও জেনে রাখা জরুরি, নতুবা শুধু খাবার পরিবর্তন করে লাভ পাওয়া যাবেনা।
১- জলঃ
দেহে পানিশূন্যতা হলে অন্ত্র মলে পানি যোগ করতে পারেনা। মল শুকিয়ে শক্ত হয়ে যায়।
২- দুধ ও দই জাতীয় খাদ্যঃ
দইজাতীয় খাবারে প্রোবায়োটিক থাকে যা একধরনের উপকারী জীবানু। এই জীবানু সুরক্ষা দেয় ও মলকে নরম রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ১৮০ মিঃগ্রাঃ দই দু সপ্তাহ খেলে দীর্ঘমেয়াদী কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
৩- ডাল জাতীয় শস্যঃ
হরেক রকমের ডাল
মটরশুঁটি, মসুর, কিংবা কলাই এর ডাল উচ্চ আশযুক্ত হওয়ায় হজমে সহায়ক ও কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে। ১০০গ্রাম রান্না করা ডালে ২৬% আশ ও পর্যাপ্ত জিংক, পটাশিয়াম, ফলিক এসিড ও ভিটামিন বি৬ থাকে।
৪- স্যুপঃ
ক্লিয়ার স্যুপগুলো সহজ পাচ্য। যার ফলে আমাদের রুগীরা সহজে হজম করতে পারে। এটা ইতোমধ্যে শক্ত হওয়া মলকে নরম হতে সাহায্য করে ।
৫- শুকনো ফলঃ
উচ্চ আঁশ, সরবিটল ও ফেনোলিক থাকায় অন্ত্রের গতি বাড়ায়।
৬- গমের তুসঃ
এটি এমন আঁশ দিয়ে তৈরী যা অন্ত্রের গতি বাড়ায়। যে সমস্ত মহিলারা আঁশযুক্ত খাবার কম খান, তাদের জন্য হুইটব্রান বা গমের খোসা কার্যকর ঔষধ। দৈনিক মাত্র ১০০গ্রাম দু সপ্তাহ সকালের নাস্তায় খেলে ক্রনিক কনস্টিপেশন ভাল হয়।
৭- ব্রকোলিঃ
এতে সালফোরাফেন আছে, যা পেটের জীবানু বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে ও হজমে সহায়তা করে। দৈনিক ২০ গ্রাম ব্রকোলি আমাদের যেকোন পেটের অসুখ ভালো করতে সাহায্য করে।
৮- তাজা ফলঃ
তাজা ফল ও সবজি
আপেল, নাশপতি, আঙ্গুর, কিউই ফল এগুলো পানি ও আঁশযুক্ত, সরবিটল ও ফ্রুক্টোজ সমৃদ্ধ। দৈনিক ১০০গ্রাম ফল আমাদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি দিতে পারে।
৯- মিষ্টিআলুঃ
মধ্যম সাইজের খোসাসমেত সেদ্ধ বা বেক্ড একটি মিষ্টিআলুতে প্রায় ৪ গ্রাম আশঁ পাওয়া যায়। যা অন্য খাবারের তুলনায় বেশি উপকার করে।
১০- ভুট্টাঃ
এয়ার পপ কর্ন যা রাস্তায় ভেজে বিক্রি করা হয়, সেটিও উচ্চ আশঁ ও কম ক্যালরিসমৃদ্ধ।
এছাড়াও আরো অনেক খাদ্য ও ফল আছে যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দিতে পারে।
কিন্তু কিছু খাবারও আমাদের পরিহার করা উচিত, যা কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দিতে পারে।
১, অ্যালকোহল- এটা শরীর থেকে পানি বের করে দেয় দ্রুত, ফলে অন্ত্র পানিশূন্যতায় ভোগে।
২, কলা -যথেষ্ট আয়রন সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় , অনেকের জন্য এটাও সমস্যা বাড়ায়।
৩, কফি- ক্যাফেইন আমাদের জল- তৃষ্ণার অনুভূতি কমিয়ে দেয়।
৪, প্রক্রিয়াজাত খাবার- সাদাচাল ও গমের আটা বা গুড়া, পাস্তা, যা প্রক্রিয়ার সময় আশঁ ও বীচকে বের করে দেয়।
৫, লাল মাংস- আশেঁর পরিমান খুবই কম থাকে, বিপক্ষে কোলেস্টেরল ও আয়রন বেশি থাকে। ফলাফল কোষ্ঠকাঠিন্য।
তাই আমাদের দেশে পুর্ণ শস্যের ব্রেড তৈরি করা উচিত আর মাংসজাতীয় খাবারের সাথে প্রচুর সালাদ ও খাওয়া উচিত ভারসাম্য রক্ষার জন্য।
By Md Samshuddin.
No comments